পাবনার ঈশ্বরদীতে আগাম ধনেপাতা চাষে ভাগ্য ফিরছে পদ্মা পাড়ের কৃষকদের

0
79

পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর পদ্মার চরে আগাম ধনেপাতা চাষে কৃষকদের ভাগ্য ফিরছে। প্রতিদিন এখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার ধনেপাতা উত্তোলন হচ্ছে। এই এলাকার ধনেপাতার উৎকৃষ্ট গুণমান ও সুগন্ধের কারণে প্রতি মণ ৩,২০০ থেকে ৪,০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এবার পদ্মার চরে ৭০ হেক্টর জমিতে ধনেপাতার আগাম চাষ হয়েছে। যদিও ধনেপাতা মূলত শীত মৌসুমের ফসল, তবুও স্থানীয় কৃষকরা আগাম চাষে সফলতা পাচ্ছেন।

উপজেলার পদ্মা তীরবর্তী চররূপপুর, দাদাপুর, এবং বিলকেদার লক্ষ্মীকুন্ডা চরে ব্যাপক ধনেপাতা চাষ হচ্ছে। কৃষকরা জমি থেকে ধনেপাতা উত্তোলন ও পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত। এছাড়া, ব্যবসায়ীরাও ধনেপাতা প্যাকেটজাতকরণ, ধোয়া, ঝুড়িতে সাজানো এবং ট্রাকে লোড করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধনেপাতা মূলত মসলা জাতীয় ফসল হলেও এর সবুজ পাতা সবজি হিসেবে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন তরকারিতে ধনেপাতা অপরিহার্য উপাদান। প্রতি বিঘা জমিতে ধনেপাতা চাষে সার, সেচ, কীটনাশক, শ্রমিক ও বাজারজাতকরণসহ ২৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা খরচ হয়। ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘা থেকে ৮০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ টাকার ধনেপাতা বিক্রি হচ্ছে।

বিলকেদার গ্রামের কৃষক আওয়াল প্রামানিক জানান, পদ্মার চরে এবার ব্যাপক ধনেপাতা চাষ হয়েছে। হঠাৎ বন্যার কারণে কিছু জমির ক্ষতি হলেও ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা প্রতি বিঘা ৮০,০০০ থেকে ১,২০,০০০ টাকায় বিক্রি করছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা এখান থেকে ধনেপাতা সংগ্রহ করে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা শহরে বাজারজাত করছেন। এখানকার ধনেপাতার গুণমান ও স্বাদের কারণে প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল মমিন জানান, এ বছর পদ্মার চরে ৭০ হেক্টর জমিতে ধনেপাতা চাষ হয়েছে। আগাম চাষের মাধ্যমে কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই ধনেপাতা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি বিঘা জমির ধনেপাতা ৭০,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর নতুন কৃষকরা ধনেপাতা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।