মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে বিশ্বের চার দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় নিতে হয়েছে। নেপাল, ফ্রান্স, জাপান ও থাইল্যান্ড—এই চার দেশেই ভিন্ন ভিন্ন সংকট, গণরোষ, রাজনৈতিক বিভাজন ও আইনি জটিলতায় নেতৃত্ব পরিবর্তন ঘটেছে।
নেপাল: সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি ও ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে তরুণদের আন্দোলন ব্যাপক বিক্ষোভে রূপ নেয়। তীব্র চাপে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি, যা নেপালের দীর্ঘ রাজনৈতিক অধ্যায়ে বড় পরিবর্তন আনে।
ফ্রান্স: একই দিনে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাসোয়া বাইরু। বিশ্লেষকদের মতে, এই ধাক্কা প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ সরকারের ভবিষ্যৎকেও নড়বড়ে করে দিয়েছে।
জাপান: ৭ সেপ্টেম্বর দলীয় বিভাজন ও সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে দায়িত্ব নেবার মাত্র ১১ মাসের মাথায় সরে দাঁড়ান প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা। এতে দেশটিতে এক দশক আগের রাজনৈতিক অস্থিরতার আবহ ফিরে এসেছে।
থাইল্যান্ড: ২৯ আগস্ট নৈতিকতা লঙ্ঘনের মামলায় আদালতের রায়ে পদত্যাগে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী পেতুংতার্ন সিনাওয়াত্রা। এক বছরও পূর্ণ হয়নি তার ক্ষমতার মেয়াদে।
বিশ্লেষকদের মতে, একসঙ্গে চার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ কেবল বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং বৈশ্বিক রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতার ইঙ্গিত। দ্রুত বদলে যাওয়া জনগণের চাহিদা, তরুণ প্রজন্মের চাপ এবং দলীয় দ্বন্দ্ব বিশ্ব নেতৃত্বকে টালমাটাল করে তুলছে।
প্রশ্ন এখন—এই পতনের ধারা কি এখানেই থামবে, নাকি সামনে আরও বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বিশ্বরাজনীতি?


