আসামের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গ শুধু গায়কই নন, ছিলেন এক বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শিল্পী—গায়ক, সুরকার, সংগীত পরিচালক, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে সমান জনপ্রিয়। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) আসামের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘রই রই বিনালে’, যা মুক্তির পর থেকেই আবেগে ভাসছে পুরো আসাম।
এই সিনেমায় জুবিন শুধু অভিনয়ই করেননি, বরং নিজেই লিখেছেন এর গল্প এবং সংগীত পরিচালনার দায়িত্বও পালন করেছেন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন আসামের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা রাজেশ ভূঞা।
প্রয়াত শিল্পীর শেষ চলচ্চিত্রের মুক্তিকে ঘিরে শুরু থেকেই উচ্ছ্বাস ছিল অনুরাগীদের মধ্যে। ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আসামের প্রায় সব প্রেক্ষাগৃহেই এই সপ্তাহে কেবল ‘রই রই বিনালে’ প্রদর্শিত হচ্ছে। একই সময়ে মুক্তিপ্রাপ্ত অন্য কোনো ছবি—যেমন ‘সিঙ্গেল সালমা’, ‘দ্য তাজ স্টোরি’, ‘দ্য ব্ল্যাক ফোন ২’ কিংবা ‘গুড বয়’—চলছে না কোনো হলে। এমনকি পুনঃমুক্ত হওয়া *‘বাহুবলী’*ও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রদর্শনী তালিকা থেকে।
মুক্তির আগেই চাহিদার শীর্ষে উঠে এসেছে সিনেমাটি। জুবিন ভক্তরা আশা করছেন, ছবিটি বক্স অফিসেও সাফল্য পাবে। প্রিয় শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহেই জুবিনের জন্য রাখা হয়েছে একটি বিশেষ আসন—আসামের ঐতিহ্যবাহী উত্তরীয় দিয়ে সাজানো সেই আসনে রাখা হয়েছে তার ছবি ও ফুল। দর্শকরা ফুল দিয়ে সাজিয়ে তুলছেন জুবিনের স্মৃতির প্রতীক সেই আসনগুলো।
ছবিটি মুক্তির আগের দিন, বৃহস্পতিবার, জুবিনের স্ত্রী গরিমা গার্গ সমাজমাধ্যমে প্রয়াত স্বামীকে স্মরণ করেন এবং সিনেমার মুক্তি নিয়ে নিজের আবেগ প্রকাশ করেন। তবে ভক্ত ও পরিবার এখনো খুঁজে ফিরছেন সেই প্রশ্নের উত্তর— ঠিক কী হয়েছিল ১৯ সেপ্টেম্বর?
উল্লেখ্য, ওই দিন সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মারা যান জুবিন গার্গ। দুর্ঘটনা না কি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড—তা নিয়ে এখনো চলছে ধোঁয়াশা ও অনুসন্ধান।