নাটকীয়তার পর দল পেলেন মুশফিক-রিয়াদ

0
5

আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্লেয়ার্স ড্রাফট বা নিলামে দেখা গেল নাটকীয়তা। দেশের ক্রিকেটের দুই অভিজ্ঞ সেনানী মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নিলামের প্রথম ডাকে অবিক্রীত থাকলেও শেষ পর্যন্ত দল পেয়েছেন। অন্যদিকে, নিলামের শুরুতেই কাড়াকাড়ি পড়ে যায় তরুণ ওপেনার নাইম শেখকে নিয়ে, যিনি বিক্রি হয়েছেন কোটি টাকার ওপরে।

রোববার (৩০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত এই নিলামে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো তাদের পছন্দের ক্রিকেটারদের নিয়ে দল সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে বিপিএলের এবারের আসর।

নিলামের ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৩৫ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যে প্রথমে নাম তোলা হয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। তবে ৬টি ফ্র্যাঞ্চাইজির কেউ তাকে দলে নিতে আগ্রহ দেখায়নি। মাহমুদউল্লাহর পরপরই একই ক্যাটাগরি ও সমপরিমাণ ভিত্তিমূল্যে নাম ওঠে মুশফিকুর রহিমের। বিস্ময়করভাবে তিনিও প্রথম দফায় অবিক্রীত থেকে যান।

প্রথমবার অবিক্রীত থাকার পর মুশফিকুর রহিম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ।’ সৃষ্টিকর্তার প্রতি এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশের কিছুক্ষণ পরই সুখবর আসে। নিয়ম অনুযায়ী অবিক্রীত ক্রিকেটারদের পরে আবারও নিলামে তোলা হয়। দ্বিতীয় দফায় ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৩৫ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দলে ভিড়িয়েছে রংপুর রাইডার্স। অন্যদিকে, সমান ৩৫ লাখ টাকায় মুশফিকুর রহিমকে কিনে নেয় রাজশাহী ওয়ারিয়র্স।

নিলামের বড় চমক ছিলেন নাইম শেখ। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা এই ওপেনারের ভিত্তিমূল্য ছিল ৫০ লাখ টাকা। তাকে দলে পেতে নিলাম যুদ্ধে নামে সিলেট স্ট্রাইকার্স, নোয়াখালী এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম রয়্যালস। ৫ লাখ টাকা করে দাম বাড়তে বাড়তে একপর্যায়ে তা ১ কোটি ছাড়িয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় নাইম শেখকে দলে নিতে সক্ষম হয় চট্টগ্রাম রয়্যালস।

সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের বর্তমান অধিনায়ক লিটন দাসও দল পেয়েছেন। ৭৫ লাখ টাকায় তাকে দলে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স।

দল গোছানোর এই কার্যক্রম শেষে এখন মাঠের লড়াই দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা। আগামী মাসেই পর্দা উঠছে ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ এই আসরের।