রাজধানীসহ আশপাশে ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

0
17

রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোর সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৪ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করেছে সরকার। বুধবার (১২ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, “রাজধানী ঢাকায় ১২ প্লাটুন এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে এক প্লাটুন করে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিজিবি পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করছে।”

সম্প্রতি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক বাস ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, দুর্বৃত্তরা হঠাৎ করে রাস্তায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে এবং চলন্ত বাসে আগুন দিচ্ছে, ফলে রাস্তায় চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে প্রতিশোধমূলক সহিংসতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। বিশেষ করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১৩ নভেম্বরের ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জনমনে ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন, রাজধানীতে এখনো বড় কোনো নিরাপত্তা সংকট নেই।

তিনি বলেন, “কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি দল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। গত কয়েক দিনে রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণ ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৫৫২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের অধিকাংশই রাজধানীর বাইরে থেকে এসে এসব কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছে।”

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, “দুর্বৃত্তরা হেলমেট ও মাস্ক পরে হামলা চালাচ্ছে এবং কিছু ক্ষেত্রে অপ্রাপ্তবয়স্কদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে। নাগরিকদের প্রতি আহ্বান, যানবাহন অন্য কাউকে দেয়ার আগে নিশ্চিত হোন, সন্দেহজনক কিছু দেখলে পুলিশকে জানান। অরক্ষিত বা ফাঁকা বাসেই বেশি আগুন দেয়া হচ্ছে।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “নাশকতাকারীদের দমনে জনগণের সহযোগিতা অপরিহার্য। ঢাকাবাসী ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবে যেকোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।”

অন্যদিকে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি ঘিরে পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সতর্ক বার্তা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “রাজধানীর রাজপথে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা সৃষ্টি করা হলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে।”